1. banglarprobhat@www.dailybanglarprobhat.online : দৈনিক বাংলার প্রভাত : দৈনিক বাংলার প্রভাত
  2. info@www.dailybanglarprobhat.online : দৈনিক বাংলার প্রভাত :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
লক্ষ্মীপুরে শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বৃদ্ধ আটক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে : বিএনপি নেতা এ্যানী ফ্যাসিস্ট সরকার ১৬ বছর ঈদ উদযাপন করতে দেয়নি : লক্ষ্মীপুরে এ্যানি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন : আবুল খায়ের ভূঁইয়া তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলা ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, “বিনোদন পত্রিকার সম্পাদক ও ঢাকাস্থ জার্নালিষ্ট সেন্টারের সেক্রেটারী আজমল হোসেন হেলাল” ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক “ফিরোজ আলম সবুজ” ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী “রেসু মৃদ্দ্যা” হাসিনার বিচার না হলে সে আবার সুযোগ গ্রহণ করবে : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি হাসিনার বিচার না হলে সে আবার সুযোগ গ্রহণ করবে : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

লক্ষ্মীপুরে দূর্গম এলাকার বানবাসিরা ত্রাণ পাচ্ছেনা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪
  • ২১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ধীর গতিতে কমছে বন্যার পানি। এখনও লক্ষ্মীপুরের প্রায় সবকটি এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। রাস্তা-ঘাট, ফসলি মাঠ, বাড়ির উঠান, রান্না ঘর সবখানে এখন পানি আর পানি। কোথাও বুক পরিমাণ পানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত আবার কোথাও হাঁটুপানি। ঘরের ভেতরেও পানি। চারিদিকে থই থই করছে পানি। পানিতে তলিয়ে আছে নলকূপ, শৌচাগার। বিভিন্ন এলাকার মসজিদ ও উপাসনালয়ের ভেতরেও পানি ঢুকে আছে। কোনো কোনো মসজিদে এখন আর নামাজ হয় না। শুধু আযান হয়। আবার কোনো মসজিদে ব্যবস্থা নেই ওযুর পানির। বাধ্য হয়ে বন্যার অপরিষ্কার পানি দিয়েই ওযু করতে হয়। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে দুর্গত গ্রামের বাসিন্দাদের। বন্যার পানির সঙ্গে শৌচাগার একাকার হয়ে আছে। সুপেয় পানির সংকট তো আছেই।

এদিকে, এখনও ত্রাণ সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রত্যন্ত এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষেরা।

আবার দুর্গম এলাকায় ত্রাণ না গেলেও চুরির ভয়ে ঘর ছাড়ছেন না পানিবন্দিরা। দুর্গম এলাকার বেশিরভাগ মানুষ হতদরিদ্র। আছে মধ্যবিত্ত পরিবারও। তাদের অভিযোগ, আট-দশদিন ধরে তারা পানিবন্দি থাকলেও অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছায়নি ত্রাণসামগ্রী। এ জন্য ত্রাণ বিতরণে প্রশাসনের সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, টাকা থাকলেও বুক সমান পানি পাড়ি দিয়ে খাদ্য আনা খুবই মুশকিল, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরুষ সদস্যরা দেশের বাহিরে কিংবা দেশে চাকুরী বা ব্যবসা করার কারনে বাড়ীতে মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুরা বসবাস করছে। তাছাড়া ছাদ ডালাই বিল্ডিং দেখলে স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ নিয়ে আসেনা। এতে অনেক পরিবার না খেয়ে থাকছে।

কুশাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষিকা কাকুলী আক্তার জানান, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার এলাকায় আছে টাকা থাকলেও দূর্গম অঞ্চল থেকে বাজারে গিয়ে খাদ্য কিনে আনা খুবই কষ্টসাধ্য, প্রায় সময় না খেয়ে থাকতে হয় এ সব পরিবারগুলো।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়ীর বাসিন্দা প্রতিবন্ধী রফিক উল্যা জানান, তার দুই মেয়ে প্রতিবন্ধী, বাড়ীতে বুক সমান পানি, কোন মতে জরাজীর্ণ ঘরে বাস করছে। এ পর্যন্ত কোন ত্রাণ তার ভাগ্যে জুটেনি।

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কসাই বাড়ীর এক গৃহিনী জানান, ঘরে ভিতরে পানি। খুব কষ্টে বসবাস করছি। শুনি বহু ত্রান আসছে কিন্তু তিনি কিছুই পায়নি বলে জানান।

বাংঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাথী আক্তার জানান, ত্রাণ না পেয়ে ডিসি’র দেওয়া একে একে তিনটি নম্বরে ফোন দেওয়ার পর মোনায়েম নামের একজনে বলে ৭নং ওয়ার্ডে একটি স্কুলে গিয়ে ত্রান আনতে। সেখানে যেতে নৌকা ভাড়া ৬’শ টাকা গুনতে হবে। প্যাকেটে থাকবে এক কেজি মুড়ি, আদা কেজি ছিড়া ও এক টুকরো মিঠাই।

তবে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানিয়েছেন, প্রত্যেক মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা পানিবাহিত রোগসহ নানা জটিল রোগের শঙ্কায় রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা। লক্ষ্মীপুরের পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে আছে ১০ লাখ মানুষ।চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে এত দিন যারা বাড়ি-ঘর ছাড়তে চাননি, তাদের অনেকেই এখন উঠছেন আশ্রয়কেন্দ্রে ও স্বজনদের বাড়িতে।

জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার প্রায় প্রতিটি এলাকাই বিপর্যস্ত। ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষের কেউ কেউ খাবার, ওষুধ, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের কথা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পানিবাহিত নানা রোগ।

কয়েকদিনে পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বন্যা কবলিত মান্দারী, দিঘলী, দত্তপাড়া, লাহারকান্দি, বাঙ্গাখাঁ, পার্বতীনগর, কুশাখালী, তেওয়ারীগঞ্জ, ভবানীগঞ্জের মিয়ার বেড়ি এবং কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা, রামগতি উপজেলার চর বাদাম, চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে গিয়ে মানবিক বিপর্যয় লক্ষ্য করা গেছে।

বিশেষ করে ওয়াপদা খালপাড় সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বুক সমান পানি। খালের পশ্চিম এবং পূর্ব পাড়ের লোকজন পুরোপুরি আটকা পড়ে আছে। নৌকা না থাকায় সেসব এলাকায় কেউ যেতে পারছে না। ত্রাণও পৌঁছায় না।

দিঘলী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, সবচেয়ে বেশি পানি আমাদের এলাকাতে। গলা পরিমাণ পানি। স্থানীয় শানকিভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এলাকার লোকজন চরম খাদ্য সংকটে আছে। অনেকের রান্না করার মতো ব্যবস্থা নেই।

মান্দারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: আনোয়ার হোসেন সুমন জানান, ইউনিয়নের সবগুলো ওয়ার্ডের অবস্থা শোচনীয়। সবার ঘরেই পানি। টিউবওয়েল পানির নিচে। শৌচাগার নেই। সুপেয় পানির চরম সংকট। যে দু-একটি টিউবওয়েল এখনও পুরোপুরি ডুবেনি, দূরদূরান্ত লোকজন সেখান থেকে সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করে।

কুশাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল বাসার বলেন, মসজিদে ভেতরে পানি। তাই মুসুল্লিদের নামাজ পড়ার মতো অবস্থা নেই। মসজিদে শুধু আযান হয়। পরিস্থিতি দিন দিনই অবনতি হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান বলেন, যে পরিমাণ পানির চাপ, সে হিসেবে পানি রেগুলেটর দিয়ে বের হতে পারছে না। বৃষ্টির হলে পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত