লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে ডিজেল চালিত সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে বোরো-ইরি চাষে কৃষকের বাড়তি টাকা গুনতে হয়। খরচ কমাতে বিএডিসি’র সেচ প্রকল্প চালুর দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
লক্ষ্মীপুরের চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বুড়িঘাট এলাকায় এখনো ডিজেল চালিত যন্ত্র দিয়ে পানি সেচ হচ্ছে। এতে স্কীম ম্যানেজারকে একর প্রতি সেচচার্জ দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা। কিন্ত বিএডিসি’র ক্ষুদ্রসেচে খরচ হচ্ছে একর প্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। ডিজেল চালিত এ সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার খোরশেদ আলম। তিনি ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। গেল বছর থেকে তিনি প্রতি কানি জমির জন্য সেচ চার্জ ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করায় ফসল উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে কৃষকরা। তারা জানান, বোরো-ইরি চাষে সম্পূর্ণ পানির ওপর নির্ভর থাকতে হয়। ক্ষেতে পানির সংকট দেখা দিলে ফসল নস্ট হওয়ার আশংকা থাকা। বাড়তি টাকা দিলেও সঠিক সময়ে মিলছেনা পানি। এ অবস্থায় বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়েছে
বহু কৃষক। সয়াবিন, শশা ও টমেটু চাষে মনোযোগী হচ্ছে কৃষক। এভাবে চলতে থাকলে প্রায় ২’শ একর জমিতে বোরো চাষ বন্ধ হয়ে যাবে, এ অঞ্চলে দেখা দিবে খাদ্য সংকট।
স্কীম ম্যানেজার খোরশেদ আলম জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, ৭’শ ফুট দূর থেকে ডাবল লাইন করে ১৪’শ ফুট পাইপ লাইন দিয়ে নদী থেকে শক্তিশালী পাম্প মেশিনের সাহায্যে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে। বছরে ৬লক্ষ টাকার ডিজেল, পাইপ লাইন ও ড্রেন করতে ৬’শ শ্রমিকের বেতন, প্রজেক্টের তিনজন শ্রমিককে প্রতিমাসে ৫৬ হাজার টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন প্রজেকক্টি বেসরকারী মালিকানা। খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকদের সাথে আলোচনা করে সেচ চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে। খরচ কমাতে বিএডিসি’র ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ প্রকল্প চালু হলে সেচ খরচ কমবে উপকৃত হবে কৃষক।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শাহ আলম চৌধুরী জানান, সেচের খরচ বাড়তি নেওয়া ও ধান কাটতে কৃষককে হুমকি দেওয়ায় স্কীম ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ত্রিশজন কৃষক একত্রিত হয়ে ইউএনও অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া সেচ খরচ অর্ধেকে নেমে আনতে কৃষকের সুবিধার্থে বিএডিসি’র ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন তিনি।