লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আবদুর রর প্রায় দুই যুগ থেকে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামগংদের নানা মিথ্যা মামলা-হামলা ও হয়রানির শিকার। নিজের বসত ভিটা এখন মানবশুন্য। প্রতিপক্ষদের ভয়ে অন্যত্রে বসবাস করছেন তার পরিবার। এতে স্বাধীনভাবে বাঁচার আকুতি জানালেন তার কলেজ পড়ুয়া ৫কন্যা ও স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা।
জানাগেছে, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আশেক আলী বেপারী বাড়ীর বাসিন্দা আবদুর রব নিজের খরিদ ও পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রায় সাড়ে ২৪ শতাংশ জমির মালিক দখলকার হয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতেন। কিন্তু কর্মের খাতিরে তিনি বাড়ীতে না থাকায় প্রতিপক্ষরা তাকে উচ্ছেদ করত একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসত।
আক্ষেপ করে তার স্ত্রী-কন্যারা বলেন, প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামগংদের জুলুম, নির্যাতনের হাত হইতে আমরা স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায়, দেশের নাগরিক হিসাবে স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার তো আছে, প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামসহ তার ছেলেদের অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা, মামলা, সহ পৈত্রিক মালিকানা জমি থেকে উচ্ছেদ সহ আমাদেরকে নিরাপদে ঘরে বসবাস করতে দিচ্ছেনা, কলেজে যাওয়ার পথে নানাবিধ হুমকি দিচ্ছে, রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছেনা, প্রতিপক্ষগণের অশ্লীল কর্মকান্ডের কারণে বাধ্য হয়ে বসতভিটা রেখে চলে যাওয়ার কথা জানালেন তারা।
ভূক্তভোগী মোঃ আবদুর রব বলেন, পৈত্রিক ওয়ারিশ ও খরিদকৃত জমির ওপর একটি ঘর করে স্ত্রীসহ ৫ কন্যা ২ ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে বসবাস করতেন তিনি। কর্মের সুবাধে বেশিভাগ সময়ে তিনি ঢাকায় থাকতেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তার বাবার অধিকাংশ সম্পত্তি প্রতিবেশী ফুফাত ভাই নূরুল ইসলাম নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এখানেই শেষ নই যখন তিনি অন্যের কাছ থেকে কিছু জমি খরিদ করেন এর পর থেকে আরও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাকে। ১৯৯৫ সালে নূরূল ইসলাম ওই খরিদ জমির ওপর করেছেন প্রি-এমশন মামলা ২০১৩ তে ওই মামলায় হেরে করেছেন আবদুর রবের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় মিছ ৯৯/০৬ইং মামলা। এ মামলায় নালিশী জমিতে আবদুর রবের বসত ঘর আছে বলে প্রমান হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এর পর ২০১১ সালে নুরুল ইসলাম তার ভাই সৈয়দ আহম্মদকে দিয়ে আবদুর রবের বিরুদ্ধে পুনরায় ১৪৪ ধারায় মিছ ৫৫/১১ইং মামলা করলে ঐ মামলাও খারিজ হয়ে যায়। এর পরও ক্ষ্যান্ত হয়নি প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম এবার তিনি বাদী হয়ে ৩১/১০/২০০৬ সালে সি.আর ৪/৭ইং মামলায় আবদুর রবকে প্রধান আসামী করে ২২ জনের বিরুদ্ধে ফোজদারী মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ২৫/৭/২০১০ ইং তারিখে আদালত সকল আসামীদেরকে খালাশ প্রদান করেন। আবদুর রবের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, তিনি খরিদ সূত্রে সাড়ে ৮শতাংশ এবং ওয়ারিশ সূত্রে ১৬ শতাংশ জমির মালিক হন। তিনি বলেন, মালিকানার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলেও প্রতিপক্ষরা তাকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
এ বিষয়ে মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, আমাদের সাথে আবদুর রবের কোন বিরোধ নাই। সে আমার আত্মীয়। মামলা মোকদ্দমা আদালতে চলমান আছে থাকবে। আইনী লড়াইয়ে যা হয় তা আমি মেনে নিব বলে তিনি জানান।