লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের চররমনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বুধবার রাতে কৃষক রাশেদ ঢালী গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভী গরু চুরি হয়েছে। এতদিন গরুটি খুঁজতে খুঁজতে শনিবার দুপুরে চুরি হওয়া গরুর চামড়া বস্তাভর্তি অবস্থায় সফিমোল্লার বাড়ীর পার্শ্বে একটি গর্তে পাওয়া যায়। গরুর ওই চামড়াটি শাহজাহান মেম্বারের চুরি হওয়া গাভী গরুর চামড়া বলে দাবী করেন তারা। দরিদ্র কৃষক রাশেদ ঢালী
গরুটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শাহজান থেকে বর্গা আনে। এর আগে গরু চুরি ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অভিযোগ করা হয়। গর্তে গরুর চামড়া পাওয়ার বিষয়টি থানায় খবর দিলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের এস আই কামাল উদ্দীন ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুর চামড়াটি উদ্ধার করে এবং ভুক্তভোগী রাসেল ঢালীকে লবন দিয়ে চামড়াটি সংরক্ষন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় পুরো এলাকায় বহু মানুষ জড়ো হয়।
গরু চুরির ঘটনায় শাহজাহান মেম্বার বাদী হয়ে শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ৬জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করে। তিনি জানান, বুধবার রাতে আমার গরু বর্গাদার রাসেল ঢালীর গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভী গরু চুরি হয়েছে। এর দুইদিনের মাথায় খোজাখুজির পর ৩নং ওয়ার্ডের সফিক মেল্লার বাড়ীর পার্শ্বে গর্তে বস্তাবন্দী অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে থানা খবর দিলে পুলিশ এসে গরুর চামড়াটি উদ্ধার করে বলে জানান। এছাড়া চামড়াটি তার গরুর চামড়া বলে তিনি ও তার বর্গাদার রাসেল ঢালী সনাক্ত করেন। তিনি বলেন আমার দায়েরকৃত এজাহারের বিবাদীরা হলেন, মুকবুল মোল্লার ছেলে সফিক মোল্লা, সফিক মোল্লার ছেলে কামাল মোল্লা, শাহীন মোল্লা, মরু সরদারের ছেলে ফরাদ, মফিজ সরদারের ছেলে হারুন সরদার, বশির মোল্লার ছেলে সাইজউদ্দীন সহ অজ্ঞাত ৪জন।
কৃষক রাসেল ঢালী দিদার জানান, আমি সফিক মোল্লার বাড়ীতে গিয়ে গরু চুরির ঘটনা জানায়, তিনি আশপাশে গরুটি খেঁজার জন্য আমাকে বললে আমি খোঁজাখুঁজি একপর্যায়ে সফিক মোল্লার বাড়ীর সামনে একটি গর্ত থেকে দূর্গন্ধ পেয়ে দেখি বস্তার ভেতর গরুর চামড়া। বিষয়টি শাহজান মেম্বারকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতে গর্ত থেকে গরুর চামড়া বের করা হয়।
গত এক মাসে এ ইউনিয়নে ১৮টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে গরু চুরির ঘটনায় প্রান্তিক গরু খামারিরা আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন। শাহজাহান মেম্বার সহ ভূক্তভোগীরা জানান।
ভূক্তভোগী জাহানারা ও রহিমজান জানান, তাদের ৭টি গরু চুরি হয়েছে কিন্তু চোর সনাক্ত করা যায়না। ইতোমধ্যে শাহজান মেম্বার মামলা করে সফিক মোল্লার নিকট থেকে ২টি চোরা গরু উদ্ধার করেছে এবং আজ তার বাড়ীর পাশ থেকে একটি গাভী গরুর চামড়া গর্ত থেকে বের করেছে। এতে বুঝা যায় সফিকমেল্লার নেতৃত্বে এলাকায় গরু চুরি হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত টিম এলাকায় টহল জোরদার করলে চুরির ঘটনা কমতে পারে।
এলাকাবাসীর মধ্যে আল আমীন জানান, সফিক মোল্লা একজন চিহ্নিত গরু চোর।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, শাহজান মেম্বার গরু চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। বিষয় তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।